প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম - প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করুন

বর্তমান বাংলাদেশের বেকারত্ব একটি বড় সমস্যা। আমাদের দেশে বর্তমান সময়ে কর্মসংস্থান ও চাকরির বাজার অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় রয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান যুব সমাজ বিভিন্ন জুয়া ভিত্তিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত।

কিন্তু আমরা এসব সাইটের বাইরে বৈধ পথে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করুন। এ বিষয়ে অনলাইনে কিছু পদ্ধতি উল্লেখ করব। এর মধ্যে আপনি কিছু পদ্ধতি আপনার প্রফেশন হিসেবে বেছে নিতে পারবেন। বা সাময়িক সময়ের কিছু ইনকামের পথ ও বেছে নিতে পারবেন।

সুছিপত্রঃ

প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করুন বিকাশে পেমেন্ট

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ অনলাইন থেকে ইনকামের বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে। কিন্তু সেইগুলো থেকে টাকা পাওয়া যায় না। এবং পাওয়া গেলে তা উইড্র দেওয়া যায় না। বর্তমান সময়ে অনলাইনে ইনকাম করে আপনি বিকাশের মাধ্যমে কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই পেমেন্ট নিতে পারেন।

এর জন্য কিছু কিছু সাইট রয়েছে। যেগুলোতে আপনাকে নিয়মিত কাজ করতে হবে। এবং এখান থেকে আপনি প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করুন। এবং তা বিকাশের মাধ্যমে খুব সহজেই উইথড্র করে ফেলো। চলুন সে সমস্ত সাইটগুলোর সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেই।

আর্টিকেল লিখে আয় পদ্ধতি

বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের যুবসমাজ অনলাইনে আর্টিকেল লিখে ইনকাম করে থাকে। যার জন্য তাদের মান্থলি একটা অ্যামাউন্ট ইনকাম করে থাকে। খুব সহজেই আপনি একটি ওয়েবসাইট খুলে সেখানে আর্টিকেল লিখে পাবলিক করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।এর জন্য আপনাকে ব্লগার এ একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। এবং সে ওয়েবসাইটে নিয়মিত বিভিন্ন আর্টিকেল লিখে পাবলিক করতে হবে।

আপনার ওয়েবসাইট যখন অ্যাড সেন্সে মনিটাইজেশন পেয়ে যাবে তখন থেকে আপনি দৈনিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে এর জন্য আপনাকে প্রতিদিন একটি করে হলেও আর্টিকেল প্রকাশ করতে হবে। এবং যথেষ্ট সময় দেওয়া লাগবে। তারপরে দেখবেন আপনার ওয়েবসাইট থেকে আপনি প্রফেশন হিসেবে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আর্টিকেল বিক্রয় করে ইনকাম

বর্তমান বাংলাদেশে অনেক রাইটার রয়েছে যারা নিয়মিত আর্টিকেল লিখে তা অন্য কারো কাছে বা অন্যের ওয়েবসাইটে বিক্রয় করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করে থাকে। আপনার যদি আর্টিকেল লেখার উপরে যথেষ্ট পারদর্শী হন। এবং ভালো আর্টিকেল লিখতে পারেন। তাহলে এমনও কোম্পানি বা বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মালিক রয়েছে যারা আপনার কাছ থেকে আর্টিকেল কিনে নিবে। এর মাধ্যমে আপনি প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করুন।

এর জন্য আপনাকে তাদের কিছু সত্য রয়েছে যেগুলো পূরণ করতে হবে। যেমন দিনে কয়টি করে আপনি লিখে দিবেন। আপনার আর্টিকেল লেখার ধরনের উপর ও কি বিষয়ে আর্টিকেল লিখছেন তার ওপর ভিত্তি করে। সবকিছু ঠিক থাকলে সেখানে আর্টিকেল লিখে আপনি মান্থলি টাকা ইনকাম করতে পারেন। বা চাইলেও প্রতিদিন ইনকাম করতে পারেন।

ফুড ডেলিভারি করে ইনকাম

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের ছাত্র সমাজের তাদের নিজেদের খরচ পড়ালেখার খরচ এসব কিছু চালানোর জন্য অনেকেই ফুড ডেলিভারি কাজ করে থাকেন। ডেলিভারি করে আপনি প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করুন, বা তারো অধিক ইনকাম করতে পারেন। এবং এ কাজটিও সহজ। এখানে আপনাকে নিয়মিত আপনার অবসর সময় টা দেওয়া লাগবে।

অনলাইনে অনেকেই বিভিন্ন খাবার অর্ডার করে থাকে। সেই খাবারগুলোর অর্ডার আপনি নিয়ে সেই খাবারগুলো রেস্টুরেন্ট থেকে তাদের বাসায় পৌঁছে দিতে পারেন। যার মাধ্যমে আপনি অর্ডার প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা পেয়ে থাকবেন। এবং দিন শেষে দেখা যাবে আপনি এক হাজার বা তারও বেশি ইনকাম করতে সক্ষম হয়েছেন।

রাইড শেয়ার করে ইনকাম

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে অনেকেই রয়েছে যারা রাইট শেয়ার করে টাকা ইনকাম করে থাকেন। এর জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট একটি অ্যামাউন্ট ইনভেস্ট করতে হবে। যেমন আপনাকে একটি বাইক কেনা লাগবে। এবং এ বাইকের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন জনের সাথে রাইট শেয়ার করতে পারেন। এক কথায় বলতে গেলে এটিও একটি ভাড়া মেরে টাকা ইনকামের মাধ্যমে জেটিকে রাইট শেয়ার বলা হয়। এসব করার জন্য আপনাকে উবারে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।

যেখানে কারো প্রয়োজনে কোথাও যাওয়ার জন্য আপনার গাড়ি বুক করে থাকবে। এই ব্যক্তিকে সেই স্থানে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে আপনি টাকা ইনকাম করবেন। বর্তমান সময়ে টাকা ইনকামের জন্য এ মাধ্যম সেরা একটি মাধ্যম। বিশেষ করে ব্যাচেলার ছাত্ররা এই রাইট শেয়ার করে টাকা ইনকাম করে থাকেন।

ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম

বর্তমান বাংলাদেশে দিন দিন ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কারণ এ প্লাটফর্মে আপনি নিজেকে অনেক বেশি উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং মূলত অনলাইনে বিভিন্ন কাজ করে টাকা ইনকামের মাধ্যমে। এখানে আপনি আপনার স্কিল কে কাজে লাগিয়ে অন্যর কাজ করে দেওয়ার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করে থাকবে। এটিকে আপনি আপনার প্রফেশন হিসেবেও বেছে নিতে পারেন।

আমাদের মত অনেকেই রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সিং করে অনেক টাকা ইনকাম করে থাকেন। এর জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট একটি স্কিল এর উপর দক্ষ হতে হবে। এবং সে স্টিল দিয়ে কাজে লাগিয়ে আপনি নিয়মিত প্রতিমাসে লক্ষাদিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমান বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং সাইটের মধ্যে তিনটি সাইট সবচাইতে বেশি জনপ্রিয়।
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
  • অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
এই তিনটির মাধ্যমে আপনি আপনার ফিউচার গড়ে তুলতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম

আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট হয়ে থাকেন। বা এ বিষয়ে যেমন এফিলিয়েট মার্কেটিং এর উপরে আপনার যথেষ্ট জ্ঞান রয়েছে। তাহলে আপনি এখান থেকে দৈনিক একটা রেভিনিউ ইনকাম করতে পারবেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং মূলত একটি কমিশনের মাধ্যমে ইনকাম। ধরুন কোন কোম্পানির বা কোন প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পণ্য রয়েছে।

যেগুলো আমি আমার ফেসবুক পেজ বা অনলাইনে বিভিন্ন মাধ্যমে পোস্ট করে অন্যরা সেখান থেকে যখন সে পণ্য অর্ডার করবে এবং সে পণ্য কোম্পানি বিক্রয় করার মাধ্যমে আমাকে কিছু পারসেন্ট কমিশন দিয়ে থাকবে। মূলত এটাকেই বলা হয় এফিলিয়েট মার্কেটিং। এখানে আপনাকে নিয়মিত কিছু সময় ব্যয় করতে হবে। যার ফলে আপনি প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বা প্রতি মাসে নির্দিষ্ট একটা এমাউন্ট ইনকাম করতে পারবেন।

ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম

আপনি যদি মনে করেন আপনি আপনার ভবিষ্যৎ কেরিয়ার অনলাইনে শুরু করবেন। তাহলে ইউটিউব হতে পারে আপনার জন্য সেরা একটি প্ল্যাটফর্ম। আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট হন তাহলে এ বিষয়ে সবচাইতে বেশি জ্ঞান লাভ করে থাকবেন। ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে প্রতিদিন এখানে নির্দিষ্ট সময় দেওয়া লাগবে। মূলত এখানে আপনাকে ভিডিও কনটেন্ট প্রকাশ করতে হবে। যে কনটেন্ট গুলো দেখে মানুষ উপকৃত হয় বা আপনার কনটেন্ট দেখে যেন তাদের ভালো লাগে এ ধরনের ভিডিও তৈরি করে সেখানে ছাড়তে হবে।

এর জন্য ইউটিউব বড় কিছু শর্ত রয়েছে। যেমন শর্ত অনুযায়ী আপনাকে ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম, ও 1000 সাবস্ক্রাইবার লাগবে। তাহলেই আপনি আপনার মনিটাইজেশন পেয়ে যাবেন। এবং যখন থেকে মনিটাইজেশন পেয়ে যাবেন তখন থেকেই আপনার ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম হতে শুরু করবে। এখানে ভালোভাবে কনটেন্ট প্রকাশ করতে পারলে আপনি মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ফেসবুক থেকে ইনকাম

কাম আপনি যদি মনে করেন ইউটিউবের মতন ফেসবুক থেকেও ইনকাম করতে পারবেন। তাহলে আপনাকে ইউটিউবের মতো এখানেও সময় দিতে হবে। এবং ইউটিউবেও কিছু শর্ত রয়েছে যেগুলো আপনাকে পূরণ করতে হবে। যেমন 6 হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম, ও ১০০০ সাবস্ক্রাইবার। এটি পূরণ করতে পারলে ইউটিউবের মতন আপনি ফেসবুকেও মনিটাইজেশন পেয়ে যাবেন।

এবং এখান থেকেও আপনি লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে ফেসবুকে একটি পেজ খুলতে হবে। এবং সেখানে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও কনটেন্ট থাকতে হবে। ইউটিউবের মতো এখানেও আপনাকে সেম ভাবে কাজ করতে হবে। এবং আপনি চাইলে ফেসবুক কেউ আপনি আপনার প্রফেশন হিসেবে বেছে নিতে পারেন।

এড দেখে ইনকাম

বর্তমান সময়ে কিছু কিছু প্ল্যাটফর্ম বা অ্যাপ রয়েছে যেগুলোতে বিভিন্ন অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম করা যায়। এর জন্য আপনাকে জানতে হবে কোন অ্যাপ গুলোতে এড দেখে টাকা ইনকাম করা যায়। সেই সমস্ত অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন এর মাধ্যমে একাউন্ট তৈরি করে অ্যাড দেখতে হবে। দেখার মাধ্যমে আপনার একাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ ডলার যোগ হবে। এবং এ ডলার আপনি টাকায় কনভার্ট করে সরাসরি বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

তবে এর মধ্যেও আরো একটি কথা রয়েছে। এমন অনেকেই রয়েছে যারা অ্যাড দেখে কিন্তু টাকা পায় না বা টাকা পেলেও সেটি বিকাশের মাধ্যমে বা অন্য কোন মাধ্যমে তুলতে পারেনা। মূলত তারা বিভিন্ন প্রতারণা শিকার হয়। এসব বিষয় যাচাই-বাছাই করে আপনাকে কাজ করতে হবে। এবং প্রতিদিন এখানে আপনাকে নির্দিষ্ট সময় ব্যয় করতে হবে। যার ফলে আপনি একটা নির্দিষ্ট এমাউন্ট ইনকাম করতে সক্ষম হবেন বলে আমি মনে করি।

শেষ কথা

আমার জ্ঞান থেকে বা এক্সপেরিয়েন্স থেকে যে সমস্ত প্ল্যাটফর্ম থেকে টাকা ইনকাম করা যায় সে সমস্ত প্লাটফর্মের বিস্তারিত এই আর্টিকেলে তুলে ধরেছি। এখান থেকে আপনি প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করুন। বা চাইলে তার চাইতে বেশি ইনকাম করতে পারেন। আপনি যদি এগুলো ফলো করে কাজ করতে পারেন তাহলে আপনি সকলের মত টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।

তবে এখানে আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু সময় দিতে হবে এবং ধৈর্য ধরতে হবে। আপনি যদি মন দিয়ে চেষ্টা করেন তাহলে আপনি এখান থেকে আপনার প্রফেশন বা দৈনিক ইনকামের পথ খুঁজে বের করতে পারবেন। বলে আমি মনে করি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url