ফাইভার একাউন্ট খোলার নিয়ম - ফাইভার থেকে টাকা ইনকাম
আপনি যদি মনে করেন ফ্রিল্যান্সিংয়ে নিজের ক্যারিয়ার গড়বেন এবং প্রতিমাসে
লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করবেন। তাহলে আপনাকে ফাইবার, ফ্রিল্যান্সার, আপ ওয়ার্ক, এর
মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করতে হবে। এ মার্কেটপ্লেসগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের সবচাইতে
জনপ্রিয় হচ্ছে ফাইবার।
আজকে আমি আপনাদের দেখাবো কিভাবে ফাইবারে একাউন্ট ক্রিয়েট করবেন। কিভাবে প্রোফাইল
কমপ্লিট করবেন এবং কিভাবে আপনা। গিগ ক্রিয়েট করবেন। সর্বশেষ আমি আপনাদের দেখাবো
কিভাবে ফাইবার থেকে টাকা বিকাশের মাধ্যমে উইথড্র করতে পারেন।
সুছিপত্রঃ
ফাইবার আসলে হচ্ছে একটি মার্কেটপ্লেস। আমি যদি আপনাদেরকে একদম সহজ করে বলি তাহলে
বলা যায় এখানে বেচা কেনা হয়। বেচাকেনা বলতে ধরেন আপনার নির্দিষ্ট কোন কাজের
উপরে দক্ষতা রয়েছে। সেই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আপনি টাকা ইনকাম করবেন। ধরেন আপনি
গ্রাফিক্স ডিজাইন ভালো পারেন, ট্রানসলেশন ভালো পারেন বা অন্য যেকোনো কাজ আপনি ভাল
পারেন। কিন্তু সে কাজটি অন্য কারো জন্য করে দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন। এমন কেউ
রয়েছে যার এরকম কোন কাজ করানোর দরকার কিন্তু সেই সেই কাজ পারে না।তাই সে ফাইবার
থেকে একজন দক্ষ বান ব্যক্তিকে সেই কাজের জন্য হায়ার করবে।
যাতে সে তার কাজটি করে দেয়। এই ফাইবার টা মধ্যোত্তম ।কারি হিসেবে কাজ
করবে। এখান থেকে কাজ করার মাধ্যমে সেই ব্যক্তি আপনাকে যে টাকা পরিশোধ করবে সেখান
থেকে ফাইবার কিছু পারসেন্ট নিবে। এবং বাকিটা আপনাকে দিয়ে দিবে। এখান থেকে আপনারও
বেনিফিট হল এবং যে আপনাকে কাজটি দিয়েছিল তার বেনিফিট হল। এই হচ্ছে
মূলত ফাইভার। এই ফাইবার নিয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করব। এখানে বলে
রাখা ভালো। শুধু ফাইবার অ্যাকাউন্ট খুললেই নয় আপনাকে কাজের দক্ষ হতে হবে। আপনার
ফাইবার একাউন্টে ভেরিফাই করার মাধ্যমে বায়ারকে বুঝাতে হবে আপনি আসলেই ভাল কাজ
পারেন।
তবে আপনি ফাইভার থেকে টাকা ইনকাম ভাল করতে পারবেন। আর যদি আপনি কাজ ভাল না পারেন
তাহলে ফাইভার থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। এখানে আপনার কাজের দক্ষতার
পাশাপাশি আপনাকে ব্যক্তিগত নলেজেও ভালো জ্ঞান থাকা লাগবে। যেমন ধরুন কিভাবে কাজ
নেবেন কিভাবে কাজ কমপ্লিট করবেন আপনি বায়ারকে কিভাবে বুঝাবেন যে আপনি ভালো কাজ
পারেন। বর্তমান সময়ে এসএমএস বা অন্য কোন মাধ্যমে বায়ার কাজ দেই না।
বরং এখন ভিডিও কলের মাধ্যমে ভাই আর আপনার সাথে কথা বলবে তারপর আপনাকে কাজ দেবে।
এর জন্য আপনাকে ইংরেজিতে ভালো পারদর্শী থাকতে হবে। এবং ইংরেজিতে কথা বলে তাকে
বুঝাতে হবে আপনি কাজ পারেন। এই সবকিছুই ঠিক থাকলেই তারপরে আপনি ফাইবার অ্যাকাউন্ট
খুলে টাকা ইনকাম শুরু করতে পারেন। তবে তার আগে আপনাকে ফাইবারে একাউন্ট খোলার
নিয়ম দেখিয়ে দিই।
ফাইভার একাউন্ট খোলার নিয়ম এর মধ্যে। শুরুতেই আপনি আপনার কম্পিউটার থেকে
(WWW.Fiver.com) লিখে প্রবেশ করুন বা আপনি যদি মোবাইল থেকে করতে চান তাহলে প্লে
স্টোরে গিয়ে ফাইবার লিখের সার্চ দিয়ে ফাইভার অ্যাপটি ইন্সটল করে নিন। দুটোরই
ইন্টারফেস একই রকম বলা যায়। তবে সকলের সুবিধার্থে আমি ল্যাপটপের
মাধ্যমে দেখাচ্ছি।শুরুতেই আপনি আপনার ফাইবার একাউন্টের মধ্যে প্রবেশ করুন।
প্রবেশ করার পর দেখতে পাবেন উপরে ডানদিকে Join নামে একটি অপশন থাকবে।
এখান থেকে join নামের অপশনটিতে ক্লিক করুন। তারপর আরও একটি অপশন
চলে আসবে আপনার সামনে। সেখান থেকে আপনাকে বেশ কিছু অপশন দেওয়া থাকবে সেই
অপশন গুলোর মধ্যে আপনি Continue with email বাটনে ক্লিক করবেন। এখানে
যে নিয়মে আপনাকে ফাইভার একাউন্ট খোলার নিয়ম দেখানো হচ্ছে ঠিক সে নিয়মেই
কাজ করবেন। না হলে আপনার অ্যাকাউন্ট খুলতে অনেক সমস্যা হতে পারে।
এখানে এসে আপনাদের আরো কয়েকটি বিষয় জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি ফাইবার একাউন্ট
খোলার নিয়ম গুলো মধ্যে যেগুলো আপনার প্রয়োজন হবে।
- Professonal email
- Professonan photo
- Behance account
- Dribble account
- Linkedin account
- Phone number
- Perfectly bio
এই বিষয়গুলোর মধ্যে বা জিনিসগুলোর মধ্যে আপনি চেষ্টা করবেন সবগুলোই যাতে আপনার
কাছে থাকে। এ বিষয়গুলো উল্লেখ করে আপনি একাউন্ট তৈরি করলে বায়ার বুঝতে পারবে।
সে যখন আপনার অ্যাকাউন্ট চেক করবে তখন সে বুঝতে পারবে আপনি আসলেই কাজ ভালো পারেন।
আপনার অ্যাকাউন্ট দেখেই বুঝে নেবে যে আপনি কেমন সেলার।
Continue with email এই ইন্টারফেসে আসার পর আপনি আপনার একটি প্রফেশনাল ইমেইল
যেটা ব্র্যান্ডিং ইমেইল সেই ইমেইলটি এখানে বসিয়ে দিন। এবং তারপর একটি স্ট্রং
যাতে ভুলে না যান এবং পাসওয়ার্ডটি যাতে অনেক মজবুত হয় এই ধরনের একটি পাসওয়ার্ড
বসিয়ে দিন।
পাসওয়ার্ড এর মধ্যে কিছু অক্ষর থাকবে বড় হাতের এবং ছোট হাতের এবং এখানে একটি
নাম্বার রাখতে হবে। যেমন আপনার ইচ্ছেমতো বিভিন্ন সংখ্যা নাম্বার চিহ্ন এরকমভাবে
আপনি একটি মজবুত পাসওয়ার্ড তৈরি করার চেষ্টা করবেন। তারপর Continue বাট
ক্লিক দিবেন।
এরপর আপনার সামনে আরও একটি ইন্টারফেস আসবে। সেখানে একটি ইউনিক ইউজার
নেম বসাতে হবে।
ইউজার নেম যেন ইউনিক হয় এ বিষয়টি খেয়াল রাখবেন। এখানে ইউজারনেম টি দেওয়ার পরে
Create my account এই অপশনে ক্লিক করুন। এখান থেকে আপনার ফাইবারে অ্যাকাউন্ট
কমপ্লিট হয়ে যাবে। এরপর আরো কিছু ধাপ রয়েছে সেগুলো আপনার জন্য অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। এ সমস্ত বিষয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি এগুলো গুরুত্ব
সহকারে দেখতে থাকো এবং পড়তে থাকো।
ফাইভার থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য ফাইভার একাউন্ট খোলার নিয়ম হয়ে গেলে আমাদের একাউন্টটি খুব ভালোভাবে ভেরিফাই করে নিতে হবে। এবং এ ভেরিফাই করার মাধ্যমে আমাদের একাউন্টে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত হয়ে যাবে। ফাইবার একাউন্ট ভেরিফাই করার নিয়ম গুলো অনেক সুন্দর ভাবে নিচে আলোচনা করা হয়েছে। চলুন সেগুলো দেখে নেওয়া যাক।
প্রথমে উপরের ডান পাশে আপনার ইমেইল লোগোর উপর ক্লিক করুন। সেখান থেকে ফাইবার
প্রোফাইলে ক্লিক করুন। তারপর প্রোফাইলের ড্যাশবোর্ডে আসার পর প্রথমে
আপনাকে প্রফেশনাল টাইপের একটি ছবি বাছাই করতে হবে। এবং যদি ছবি না থেকে থাকে
তাহলে আপনি সুন্দর করে একটি ছবি তুলে কিংবা একটি লোগো দেওয়ার চেষ্টা করবেন যাতে
প্রোফাইলের লোগো বা ছবি দেখতে অনেক সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয়।
স্ক্রিনশটে উপরে দেখানো হয়েছে কোথায় কিভাবে কি বসাতে হবে। প্রথমে আপনার লোগো বা
ছবি দিয়ে দিবেন। তারপরে your display name এর জায়গায় একটি নাম দিবেন দেওয়ার
পরে আপডেট অপশনে ক্লিক দিবেন এবং সেটি আপডেট করে নেবেন। এড করার পর আপডেট দেওয়ার
পর আপনার প্রোফাইল লোগোর জায়গায় লোগো নামের জায়গায় নাম ও স্টিল ওয়ার্কিং
ইমেইল সিগনেচার সবকিছু কমপ্লিট দেখা যাবে। ঠিক এভাবেই সবকিছু সূক্ষ্ম মাপে
দেওয়ার চেষ্টা করবেন। তবে কারো কোন ইনফরমেশন বা কোন কিছু কপি করে দেওয়া যাবে।
না ফাইবার কোন কপি পেস্ট নিতে চাই না।
এখানে এসে আপনাকে আরো কিছু ইনফরমেশন দিতে হবে।যেমন আপনার প্রোফাইলের ডিসক্রিপশন
লিখতে হবে। খুব সুন্দর ভাবে এবং আপনার ভাষা সিলেট করতে হবে। আপনি কোন কাজের উপর
দক্ষ সে কাজের বিবরণ দিতে হবে বা কাজের ধরন লিখতে হবে।
ফাইভার একাউন্ট খোলার নিয়ম আপনার সুবিধার জন্য আপনি চাইলে অন্য কারো ফাইবার
অ্যাকাউন্ট গুলো ফলো করে দেখতে পারেন। তাদের ডেসক্রিপশন তাদের কাজের ধরন তাদের যে
সমস্ত ইনফরমেশন গুলো দেওয়া থাকে সেগুলো থেকে আপনি আইডিয়া নিতে পারেন। তবে
কোনভাবেই তাদের ইনফরমেশন কপি করে বসানো যাবে না। না হলে পরবর্তীতে সমস্যা হবে।
তারপর আপনি ভাষায় এড করবেন এখানে আমি যে বিষয়ে যে ভাষা জানি সেই ভাষায় যুক্ত
করবেন। আপনার ক্ষেত্রে। তবে আপনি যে ভাষা জানেন না সে ভাষাগুলো এখানে এড করবেন
না। না হলে পরবর্তীতে সমস্যা হতে পারে।
তারপর আপনি স্ক্রীন এড করবেন এড নিউ বাটনে ক্লিক করে আপনি যে যে বিষয়ে দক্ষতা
অর্জন করেছেন সেগুলো দক্ষতা ওখানে অ্যাড করবেন। প্রোফাইল ড্যাশবোর্ড এর কাজ
আমাদের সম্পন্ন। এখন আমাদের আরো অনেক কিছু কাজ বাকি রয়েছে যেগুলো কাজ করে নেওয়া
লাগবে।
এরপর প্রোফাইল ড্যাশবোর্ড এর মাঝখানে একটি বাটন রয়েছে। যে বাটন টির নাম দেওয়া
আছে Become a seller. ওই বাটনে ক্লিক করবেন তারপর যতগুলো অপশন আসবে সবগুলোতে
কন্টিনিউ করে দেবেন। কারেন্ট নিয়োগ করতে করতে আমাদের আরও একটি ইন্টারফেস
ড্যাশবোর্ড চলে আসবে আমাদের ভেরিফিকেশনের মূল।
Seller onboarding dashboard আসার পর উপরে দেখাবে Completion rate :
10। এখানে আপনাকে সর্বোচ্চ ৮০% কিংবা ৭০% সম্পন্ন করতে হবে। প্রথমে আপনাকে
যা এনআইডি আছে সেই nid অনুযায়ী ফাস্ট নাম এবং লাস্ট নাম দিতে হবে। কারণ nid
অনুযায়ীর নাম না দিলে পরবর্তীতে ভেরিফিকেশন এর সময় সমস্যা হবে।
সম্পন্ন হয়ে যাবে এবং তারপর নিচে আরও অনেকগুলো ধাপ আছে আপনি দেখে নিতে পারেন।
ওইগুলো ধার যদি পুণ্য না করা হয়ে থাকে তাহলে আপনি নিজে নিজের পুণ্য করে রাখবেন।
তারপর সম্পূর্ণ করা হয়ে গেলে সবার নিচে দেখবেন কন্টিনিউ বাটন তার ওপর কন্টিনিউ
করে পরবর্তী পেজে চলে যাবেন।
ফাইভার একাউন্ট খোলার নিয়ম। প্রফেশনাল ইনফরমেশন এই পেজে আসার পরে আপনাকে অকুপেশন
এবং কত সাল থেকে কত সাল পর্যন্ত আপনি এই কাজে নিয়ে দক্ষতা অর্জন করেছেন সেখানে
বছর সিলেক্ট করে নিতে হবে। মানে আপনি যে কাজটি করেছেন সে কাজের কতদিনে অভিজ্ঞতা
সে অভিজ্ঞতা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনাকে এড করতে হবে। তারপর আপনাকে দুই থেকে
পাঁচটা কাজ এড করতে হবে। যেগুলো কাজের উপর চেক মার্ক দিতে হবে যেমন স্ক্রিনশট
দেখানো বা যেকোনো ভাবে স্ক্রিনশট নিয়ে সেখানে ফটো দিতে হবে।
এই কয়টি ধাপ যদি আপনার সম্পূর্ণ হয়ে থাকে তাহলে আপনি নিচে এসে কন্টিনিউ করে
পরবর্তী ধাপে যেতে পারেন। আপনার যদি পার্সোনাল ওয়েবসাইট থাকে তাহলে আপনি
পার্সোনাল ওয়েবসাইট করতে পারবেন। নিচে এবং সার্টিফিকেট এড করতে পারবেন এবং তারপর
এডুকেশন এড করে নিতে পারবেন। যদি এগুলো আপনার থেকে থাকে তাহলে অ্যাড করে নিবেন।
এড করার পর কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী পেজে চলে যেতে পারবেন।
ফাইভার থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন এই পেজে এসে আপনি
দুইটি অপশন দেখতে পারবেন। প্রথম অপশন হচ্ছে ইমেইল ভেরিফিকেশন এবং দ্বিতীয় অপশন
হচ্ছে মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন। আমাদের প্রথম ইমেইল টা ভেরিফিকেশন করা আছে। এই
কারণে এই ভেরিফিকেশন দেখাচ্ছে এখন আমরা ফোন নাম্বারটি ভেরিফিকেশন করব। ফোন
নাম্বার ভেরিফিকেশন করার জন্য এড ফোন নাম্বার ক্লিক করবেন আমাদের ফোন নাম্বারটি
অ্যাড করতে হবে। কিভাবে ফোন নাম্বার অ্যাড করবো এ বিষয়ে দেখে নেওয়া যাক।
ফোন নাম্বার বসানোর পর ভেরিফাই বাই মেসেজ এবার ক্লিক করে আমরা ভেরিফাই করে নেব।
আমাদের ফোনে একটি মেসেজ আসবে মেসেজে কোড আসছে। ওই কোডটি আমাদের আরও একটি পেজে
বসাতে হবে। কোড বসিয়ে দেওয়ার পর সাবমিট কোড এ ক্লিক করব। তারপর আমাদের
অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন সাকসেসফুল একটি নোটিফিকেশন মেসেজ চলে আসবে।
এখানে ভেরিফিকেশন কমপ্লিট লেখা দেখানোর নিচে ওকে বাটনে ক্লিক করে তারপর আমাদের
সামনে আরো একটি নোটিফিকেশন মেসেজ আসবে। সেই মেসেজের লেখা থাকবে যেমন আপনি যখন
পাসওয়ার্ড কিংবা কিছু ভুলে যাবেন তখন আপনাকে কিছু সিকিউরিটি কুস্তিওন ধরা হবে।
আপনি যদি সঠিক উত্তর দিতে পারেন তাহলে আপনার পক্ষে একাউন্টে ফিরিয়ে আনার সম্ভব
হবে। এজন্য এখানে আপনাকে সিকিউরিটি কোশ্চেন অ্যাড করতে হবে। সিকিউরিটি কোশ্চেন
অ্যাড করা হয়ে গেলে ফিনিশ বাটনে ক্লিক করে এই প্রসেসটি সম্পন্ন করে নেবেন।
এগুলোর সব যদি সম্পূর্ণ হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে গিফট তৈরি করার পেজে নিয়ে যাবে।
আর কোথাও যদি ভুল হয়ে থাকে যদি ভুল করে থাকেন তাহলে কি তৈরি করার সময় পেজে
নিয়ে যাবে। যাতে যা ভুল হয়েছে তা আপনি সংশোধন করে নিতে পারেন পরবর্তীতে যাতে
কোন সমস্যা না হয় এজন্য।
গিগ কী ?
ফাইভার থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য গিগ তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গিগ মূলত হচ্ছে একটি প্রোডাক্ট। ধরুন আপনি একটি দোকান ঘর কিনেছেন এখন সেই
দোকানে যে প্রোডাক্ট বিক্রি করবেন সেই ধরনের প্রোডাক্ট তুলতে হবে। এবং সেই ভাবে
প্রোডাক্ট সাজাতে হবে এবং দাম কম রাখতে হবে। তাহলে গ্রাহক অনেক বেশি আগ্রহ
হবে সেই প্রোডাক্ট নেওয়ার জন্য। এটাই হচ্ছে মূলত ফাইবারের ভাষায় গিগ।
গিগ তৈরি করার জন্য প্রথমে আমাদের সামনে একটি ইন্টারফেস আসবে। ইন্টারফেসটি দেখতে
ঠিক এরকম হবে।
গিগ তৈরি করার জন্য প্রথমে আপনাকে গিগ টাইটেল বসাতে হবে। তারপরে
ক্যাটাগরি সিলেট করতে হবে। এবং সিলেট করতে হবে তারপরে এক বসাতে হবে। এসব সহজভাবে
বুঝার জন্য এবং বসানোর জন্য প্রথমে আপনি আপনার নতুন একটি ট্যাবে ফাইবার ওপেন
করবেন। সেখানে প্রথম সফল ১০ জন ফ্রিল্যান্সারের ইনফরমেশন গুলো চেক করবেন। যাতে
আপনি একটি আইডিয়া নিতে পারেন। তবে আপনি যে ক্যাটাগরির কাজ করতে ইচ্ছুক ক্যাটাগরি
সিলেক্ট করে চেক করবেন। এবং সে অনুযায়ী গিগগুলো তৈরি করে নিবেন। এরপর নিচে থাকা
কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করে পরের ধাপে চলে যাবেন।
এখানে এসে আপনি তিনটি অপশন দেখতে পারবেন বেসিক স্ট্যান্ডার আর প্রিমিয়াম। এগুলো
পূরণ করার জন্য আপনারা টপ ১০ জনের ইনফরমেশন নিয়ে এখানে বসিয়ে দিবেন। সমস্ত
ডিটেলস বসানো হয়ে গেলে নিচে থাকা কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করে পরের ধাপে এগিয়ে
যাবে। এরপরে আপনার সামনে আরো একটি অপশন আসবে এখানেও আপনাকে কিছু ইনফরমেশন দিতে
হবে।
এখানে আপনি যে গিগটি তৈরি করেছেন সেই গিগর বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্ট বর্ণনা দিয়ে
দিবেন। এবং নিচে স্ত্রল করে দেখবেন আরো একটি অপশন থাকবে সেখানে আপনাকে কিছু
প্রশ্ন করবে। সেই প্রশ্নের অ্যানসার গুলো দেওয়া লাগবে। এগুলোর জন্য আপনি
চাইলে একজন ভালো ফ্রিল্যান্সারের কাছ থেকে আইডিয়া নিতে পারেন। এই ধাপ কমপ্লিট
হয়ে গেলে নিচে থাকা কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক দিয়ে পরের ধাপে চলে যাবেন। এরপর আপনার
সামনে আরো একটি ইন্টারফেস আসবে।
এখানে আপনাকে কিছু ছবি বসাতে হবে এবং ভিডিও বসাতে হবে ও পিডিএফ ফাইল বসাতে হবে।
এগুলো মূলত আপনার পূর্বের সম্পূর্ণ করা কাজের কিছু প্রমাণ দিতে হবে। যাতে বায়ার
দেখে বুঝতে পারে আপনি পূর্বে কাজগুলো করেছেন এবং এ কাজগুলোর প্রতি আপনার যথেষ্ট
জ্ঞান ও দক্ষতা রয়েছে। তাহলে বায়ার আপনাকে কাজ দিতে ইচ্ছা পোষণ করবে।
এখান থেকে এই ইন্টারফেসটি আসার পরে আপনার কাছে চাইবে আপনি যদি ইউএসএ থাকেন তাহলে
ইউএস সিলেক্ট করে। ইয়েস অপশনে ক্লিক দিবেন আর যদি বাইরের কোন দেশে থাকেন তাহলে
নো তে ক্লিক দিবেন। দেওয়ার পরে সাবমিট করবেন এরপরে আপনার সামনে আরো একটি
ইন্টারফেস আসবে এন্টারপ্রেস্ট টি যদি এরকম হয় তাহলে বুঝে যাবেন আপনার
গিগ তৈরির সম্পূর্ণরূপে কমপ্লিট।
এটার মাধ্যমে বুঝতে পারবেন আপনার গিগ তৈরি সম্পূর্ণরূপে কমপ্লিট। এখন যদি
কোন বায়ার চাই আপনার সমস্ত ইনফরমেশন দেখে আপনাকে কোন কাজের অর্ডার করতে পারে। এ
সমস্ত দেখার পরে বায়ারের অর্ডার করার জন্য সুবিধা হবে। এ ছিল গিগ তৈরির নিয়ম
কানুন।
ফাইভার থেকে টাকা ইনকাম করতে গেলে যে সমস্ত বিষয় মাথায় রাখতে হবে ।বর্তমান
ফাইবারের যে সমস্ত কাজ রয়েছে সে সমস্ত কাজগুলোর মধ্যে অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো
সবচাইতে বেশি জনপ্রিয়। আপনি যদি ভাবেন এ ধরনের কোন কাজ করবেন বা লাইফ টাইম
ক্যারিয়ার গড়বেন তাহলে আপনি যেকোনো একটি বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করতে পারেন।
আর এ দক্ষতা অর্জন করার জন্য আপনাকে কোন ট্রেনিং সেন্টার বা অনলাইনে বিভিন্ন
কোর্স কিনা পাওয়া যায়। সেই কোর্সগুলো করার মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করতে পারে।
ফাইভার একাউন্ট খোলার নিয়ম এ দক্ষতা অর্জনের ফলে আপনি ফাইবারে উপরে দেখানোর
নিয়ম অনুযায়ী একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে সেখান থেকে মান্থলি এক থেকে দুই লাখ
টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এ বেশি আগ্রহ থাকে তাহলে
আপনি সেই বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করতে পারে। বা চাইলে আপনার গ্রাফিক্স ডিজাইন
ভালো লাগলে সে বিষয়ের উপরেও আপনি দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। বা কোডিং এর বিষয়ে
এমনকি ভিডিও এডিটিং এর বিষয়েও আপনি দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। আপনি যাই করুন না
কেন এমন কোন কাজ করবেন না যেটা আপনার পক্ষে সম্ভব নয়।
ফাইবারে কাজ করতে গেলে আপনার কাজ শেখার পাশাপাশি বেসিক কিছু নলেজ থাকা লাগবে। যে
সমস্ত কাজে লাগিয়ে আপনি এডভান্স লেভেলের কাজে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। বর্তমান
ফাইবারে কম্পিটিশন অনেক বেশি এখানে প্রতিনিয়তই হাজার হাজার মানুষ তাদের দক্ষতা
কাজে লাগিয়ে টাকা ইনকাম করছে। সেখান থেকে আপনি চেষ্টা করবেন তাদের থেকেও ভালো
দক্ষতা অর্জন করার। যাতে লাইফ টাইম একটি রেভিনিউ আর করতে পারেন। এবং ফাইভার
থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ফাইভার থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনি চাইলে আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়েও
ফাইবারে অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করতে পারেন। এর জন্য আপনি যদি অ্যাপের মাধ্যমে
ফাইবারে অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করতে চান তাহলে আপনার অ্যাকাউন্টটি ভালোভাবে
ক্রিয়েট করতে পারবেন না। এর জন্য আপনাকে আপনার মোবাইলে ব্রাউজারে চলে যেতে হবে।
এবং সেখান থেকে ডেক্সটপ মোড অন করে নিতে হবে। এরপর ওখানে আপনি ফাইবারে
একাউন্ট অনেক সুন্দর ভাবে ক্রিয়েট করতে পারবেন।
উপরে আপনাকে যে নিয়মে ফাইবারে অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম দেখানো হয়েছে এখানেও ঠিক
সেম ভাবে আপনার সামনে সবকিছু থাকবে। একই নিয়মে আপনি ফাইবারে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে
নিতে পারেন। হয়তোবা আপনি ভাববেন দুই জায়গায় দুই রকম থাকতে পারে কিন্তু আসলে
এমনটি না। ডেক্সটপ মোড অন করার পরে সব কিছু একই নিয়মে কাজ করা সম্ভব। তাহলে
আপনার ফাইবারে একাউন্টে অনেক সুন্দর ভাবে সম্পূর্ণ করতে পারবেন।
ফাইবার থেকে টাকা উইথড্র দেওয়ার জন্য বা ডলার উইথড্র দেওয়ার জন্য আপনার
একটি Payoneer অ্যাকাউন্ট থাকা লাগবে। আরো কিছু একাউন্ট রয়েছে যেগুলোর
মাধ্যমে টাকা দেওয়া যায়। কিন্তু বাংলাদেশের সবচাইতে জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। আর
এর মাধ্যমে আপনাকে ডলার বা টাকা ফাইবার থেকে আপনার ব্যাংক একাউন্ট বা বিকাশের
মাধ্যমে উইথড্র দিতে পারেন।
ফাইবার থেকে টাকা উইথড্র দেওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে প্রোফাইল থেকে উইথড্র
ব্যালেন্স অপশনে যেতে হবে। সেখানে যাওয়ার পর আপনার সামনে আপনার বর্তমান
ব্যালেন্স শো করবে। ঠিক এই নিয়মে আপনার ব্যালেন্স দেখা যাবে।
এখান থেকে আপনাকে উইথড্রব ব্যালেন্স এই অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে। এই অপশনটিতে
ক্লিক করার পর আপনার সামনে একটি ইন্টারফেস আসবে। সেখানে
আপনাকে Payoneer এই অ্যাকাউন্টটি আপনার ফাইভারে কানেক্ট করে নিতে হবে।
ঠিক এই নিয়মে।
এখান থেকে আপনি কনফার্ম এন্ড উইথড্রো এই অপশন এ ক্লিক করার পর আপনার ব্যালেন্স
ফাইভার থেকে Payoneer এ কিছু সময়ের মধ্যে চলে আসবে। এবং এখান থেকে
আপনি আপনার যে ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে টাকাটি নিবেন বা ডলার নিবেন সেখানে
ট্রান্সফার করে দিবেন। বর্তমান আমার কাছে এই একাউন্ট না থাকার কারণে আপনাকে
স্ক্রিনশট দেখাতে পারতেছি না। তবে আপনি সেখানে একই নিয়মে টাকা ব্যাংকে
উইথড্র করতে পারবেন। এবং ব্যাংকে আপনার কয়েকদিন সময় লাগবে টাকাটি বা ডলার এড
হতে সেই পর্যন্ত ধৈর্য ধরে থাকবেন।
ফাইবার এমন একটি মার্কেটপ্লেস যেখান থেকে আপনি আপনার লাইফটাইম ক্যারিয়ার গড়ে
তুলতে পারেন। যা আপনাকে আপনার ভবিষ্যৎ সাজাতে সহযোগিতা করবে। তবে এই ফাইবার থেকে
আপনার ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য ফাইবারের কিছু শর্ত ও নিয়ম-কানুন রয়েছে যেগুলো
আপনাকে পূরণ করতে হবে। আর এই সত্যগুলো আপনার কাজের উপর নির্ভর। আপনি যেমন কাজ
করবেন তেমন কাজ পাবেন। আপনি যেমন কাজের উপর দক্ষ থাকবেন তেমন দক্ষতা কাজে লাগিয়ে
আপনি কাজ পেয়ে থাকবেন। আপনার আউট নলেজ যত ভালো হবে ফাইভার থেকে টাকা ইনকাম তত
সহজ হবে।
শুধু ফাইবার একাউন্ট খুললেই নয়। ফাইবার অ্যাকাউন্ট খোলার পর আপনাকে আপনার
একাউন্ট ভেরিফাই করে নিতে হবে। এবং এমনভাবে একাউন্ট কে সাজাতে হবে ও ইনফরমেশন
দিতে হবে যেগুলোর মাধ্যমে বায়র আর আপনার সাথে কানেক্ট থাকতে পারে। এর জন্য আপনার
সমস্ত পার্সোনাল ইনফরমেশন বিভিন্ন ওয়েবসাইট যা কিছু আছে সোশ্যাল মিডিয়ায়
সবকিছু সেখানে অ্যাড করে দিতে হবে। আর সবচাইতে বড় কথা আপনার কাজের দক্ষতা আপনাকে
প্রমাণ করতে হবে। আপনি যদি প্রমাণ করতে না পারেন তাহলে ফাইবার অ্যাকাউন্ট আপনার
জন্য নয়। আর সেটি প্রমাণ করতে পারলে ফাইবারে আপনাকে স্বাগতম।
ফাইভার একাউন্ট খোলার নিয়ম ও ফাইভার থেকে টাকা ইনকাম উপরে এর
সমস্ত বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এই সমস্ত বিষয়গুলো মেনে আপনি যদি একটি
একাউন্ট তৈরি করতে পারেন এবং আপনার দক্ষতা প্রমাণ করতে পারেন তাহলে আশা করা যায়
আপনি ফাইবারে আপনার লাইফ টাইম একটি ভালো রেভিনিউ ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমান
বেকারত্বের যুগে ফাইবার মার্কেটপ্লেসে খুব সহজে টাকা ইনকাম করার অনেকগুলো স্কিল
রয়েছে।
এই দক্ষতা গুলোকে কাজে লাগিয়ে বেকারত্ব দূর করার বড় একটি মাধ্যম ফাইবার। এ
ফাইবারের মাধ্যমে বর্তমান বাংলাদেশের ইয়াং জেনারেশনের অনেক বেকার ছেলেপেলে তাদের
কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে ফেলেছে। তাই আর দেরি না করে আপনিও শুরু করতে পারেন
আপনার ইনকামের পথ। একটু পরিশ্রমের মাধ্যমে আপনিও আপনার বেকারত্ব দূর করে প্রতি
মাসে ভালো একটি টাকা ইনকাম জেনারেট করতে পারেন। পরিশেষে সবার জন্য শুভকামনা রইল।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url